বর্তমানে কম্পিউটারের জন্য প্রচুর সংখ্যক ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার রয়েছে। ফলে আপনি যদি আপনার কাজের জন্য পার্ফেক্ট ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার খুঁজতে যান, তাহলে আপনি এতো সব সফটওয়্যারের মাঝে হারিয়ে যেতে পারেন। ভালো মানের ৫টি সফটওয়্যার শেয়ার করলাম যা আপনাদের উপকারে আসবে।
ওয়ান্ডারশেয়ারের তৈরি Filmora অন্যতম একটি জনপ্রিয় ভিডিও এডিটর সফটওয়্যার। পার্সোনাল কম্পিউটারে ব্যবহার করার জন্য এটি খুবই উপযোগী একটি ভিডিও এডিটর সফটওয়্যার। ভিডিও এডিটিংয়ের জন্য সমস্ত ফিচারই এতে প্যাক করা হয়েছে। মাল্টি-ক্যাম এডিটিং, 4K ভিডিও সাপোর্ট, অডিও মিক্সার, টিল্ট স্ক্রীন,স্প্লিট স্ক্রীন অডিও রেকর্ডার মতো ফিচারগুলো এতে রয়েছে।
আপনি যদি টিউটোরিয়াল টাইপের ভিডিও বানাতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তবে Camtasia Studio ব্যবহার করা আপনার জন্য আব্যশিক। এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ভিডিও এডিটর সফটওয়্যার। সফটওয়্যারটির ক্যামটাসিয়া রেকর্ডার ও ক্যামটাসিয়া ভিডিও এডিটর নামে দুটি অংশ রয়েছে। রেকর্ডার দিয়ে ভিডিও ক্যাপচার করার পর এই এডিটর অংশে মূলত ভিডিও সম্পাদনা করা হয়।
টেকস্মিথের তৈরি এই সফটওয়্যারটি যারা টিউটোরিয়াল ভিডিও তৈরি করেন তাদের প্রধান হাতিয়ার। সফটওয়্যারটির ইউজার ইন্টারফেস সহজ ও সাবলীল হওয়ায় যে কেউ এটি ব্যবহার করতে পারে। সফটওয়্যারটিতে প্রয়োজনীয় সকল ফিচারসই প্যাক করা হয়েছে।
বর্তমানে এটি অন্যতম জনপ্রিয় একটি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার। স্ট্যাকেবল অডিও এবং ভিডিও ফিল্টারের একটি বিস্তৃত ভাণ্ডার রয়েছে সফটওয়্যারটিতে । এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে আপনি উন্নত থেকে আরও উন্নতমানের ভিডিও এডিট করতে পারবেন।
আপনি জেনে অবাক হবেন যে, সিএনএন বা বিবিসি এর মতো নিউজ প্রতিষ্ঠান তাদের কাজে Adobe Premiere Pro ব্যবহার করে থাকে। তাহলে বুঝতেই পারছেন, এটা কতটা প্রফেশনাল মানের একটি সফটওয়্যার। ভিডিও ট্রানজিশন, ভিডিও ইফেক্ট, অডিও ইফেক্ট, এডজাস্টম্যান্ট লেয়ারস, ট্র্যাকিং ইফেক্ট, ক্লিপ স্পীড, রিয়েল টাইম রেন্ডারসহ অসংখ্য ফিচার Adobe Premiere Pro তে রয়েছে।
এক কথায় বলা যায় প্রোফেশনাল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারে যে ধরনের টুলস থাকা দরকার তার সবই এতে প্যাক করা হয়েছে। সফটওয়্যারটি ৩৬০ ডিগ্রী ভিআর কন্টেন্ট, 4K এবং এইচডিআর ভিডিও সাপোর্ট করে।
আরেকটি শক্তিশালী ভিডিও এডিটর হলো Final Cut Pro। ম্যাক্রোমিডিয়ার তৈরি এই সফটওয়্যারটি বর্তমানে অ্যাপেল ইনকরর্পোরেটের অধীনস্থ। প্রোফেশনাল মানের এডিটিংয়ের জন্য প্রায় সব ফিচারই এতে প্যাক করা হয়েছে। এছাড়াও সফটওয়্যারটিতে বেশ কিছু প্রি বিল্ট ফিচারও রয়েছে।
সফটওয়্যারটিতে মাল্টি-ক্যাম এডিটিং, মোশন ট্র্যাকিং, ৩৬০° এডিটিং, অ্যাডভান্স কালার গ্রেডিং, এইচডিআর সহ আরো অসংখ্য ফিচার রয়েছে।
বর্তমানে এটি শুধু ইন্টেল প্রোসেসর ভিত্তিক ম্যাক কম্পিউটারে ব্যবহার করা যায়। আপনি যদি একজন ম্যাক ইউজার হয়ে থাকেন তাহলে এই পেইড সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন। সফটওয়্যারটির ব্যবহারকারী ম্যাকেই বেশি। আপনি এককালীন ২৯৯.৯৯ ডলার পেমেন্ট করে এই সফটওয়্যারটি কিনতে পারবেন।
লিস্টে থাকা আরেকটি শক্তিশালী ভিডিও এডিটর হলো এই Corel VideoStudio। এই সফটওয়্যারটি অনেকটা অ্যাডবি প্রিমিয়ার ইলিমেন্ট এর মতো নতুনদের উপর ফোকাস করে তৈরি করা হয়েছে। সফটওয়্যারটির সহজ ইউজার ইন্টারফেস থাকায় এটি ব্যবহার করা অনেক সহজ। মাল্টি-ক্যাম এডিটিং, ফোর-কে ভিডিও সাপোর্ট, ৩৬০° ভিআর ভিডিও সাপোর্টের পাশাপাশি সফটওয়্যারটিতে নিজস্ব মিউজিক লাইব্রেরি এবং অসংখ্য ইফেক্ট রয়েছে। সফটওয়্যারটির সাহায্যে আপনি সহজেই ইফেক্ট-রিচ ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। তাছাড়া এটি খুব দ্রুত ভিডিও রেন্ডারও করতে সক্ষম।
ফেসবুকে ফলো করুন- রাসেল মাহমুদ
আপনার ফেসবুক আইডি থেকে কমেন্ট করুন