ভালো শিক্ষার্থী হওয়ার কৌশল। ভালো ছাত্র হবার সুবিধা অনেক। সেই সব সুবিধার কথা জানেন না এমন মানুষের সংখ্যা খুব কম। কিভাবে ভালো ছাত্র হওয়া যায় সে বিষয়েঃ
সময়ের সাথে সব চাইতে বেশি সঙ্গতি পূর্ন হল প্রতিদিনের রুটিন। এই রুটিনের মধ্যে খেয়াল রাখতে হবে সপ্তাহের সব দিনে টোটাল বিষয় সমুহ এসেছে কি না। যদি না আসে তবে সে অনুযায়ী সাঁজাতে হবে। প্রত্যেক সপ্তাহের কাজ সপ্তাহেই শেষ করতে হবে।পাঠ্যসূচীতে যা কিছু আছে তার সব টাইটেলে সাজানো হচ্ছে প্রথম কাজ। যে ছাত্র একটি সুন্দর রুটিন মেনে চলে সে ভালো না হয়ে পারেনা। দিনের প্রত্যেক ক্ষুদ্রাংশকেও ভেঙ্গে সাজাতে হয়। প্রতি দশ মিনিটের জন্য একটি কাজ করা যেতে পারে আর তার রেজাল্ট মাসের শেষে মিলিয়ে দেখলে এমনিতেই ডেইলি রুটিনের গুরুত্ব বুঝা যাবে।
শিক্ষার্থী হিসেবে এই তিনটি প্রশ্নের উত্তর জানা একান্ত আবশ্যক – রাসেল মাহমুদ
একটি দৈনিক রুটিনের মাঝে এমন ভাবে সময় প্ল্যান করতে হবে যেন বোরিং না আসে। পড়ার সময় খুব বেশি যেন না হয়। দিনে ৬ ঘন্টার বেশি পড়া উচিত না। বেশি পড়লেই ভালো হয় না।ভালো করে পড়লে কম পড়াই যথেষ্ট। তবে মেধানুসারে ৬ঘন্টা থেকে আরো বাড়ানো যেতে পারে। কিন্তু মনে রাখা উচিত সেই বাড়তি সময় যেন মনের উপর প্রভাব না ফেলে।
যদি নোট করার অভ্যাস না থাকে তবে আজই তা আয়ত্ব করুন। নোট এমন একটি ব্যাপার যা না করলে কখনোই তেমন কিছু মনে রাখা সম্ভব নয়। যে কোন কঠিন বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করলেও একটি নোটের মাধ্যমে তা সহজ করে ফেলা যায়। জটিল বিষয়ের জটিল পয়েন্টস গুলো লিখে রাখাই উত্তম।
ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিত থাকাটা আবশ্যক। প্রতিদিনের মত যদি ক্লাসে উপস্থিত না থাকা যায় তবে সেই অনুপস্থিত ক্লাসের পড়াটাও সংগ্রহ করা উচিত। শিক্ষকের সাথে একই সময়ে যে পাঠচর্চা করা হয় তা সাথে সাথেই বোধগম্য হয়ে যায়। নিয়মিত ক্লাস করার সুবিধা অনেক।
পড়ার কোনো বিলল্প নেই। তবে তা কেবল না বুঝে পড়াই নয়, বুঝে শুনে পড়া। কোন কিছু মগজে না ঢুকতে চাইলে তা লিখে ফেলা উচিত।লিখতে গেলে বিষয়টা খুব ভাল ভাবে মনে থাকে। তাই প্রথম চেষ্টা হচ্ছে পড়া, তারপরের চেষ্টাও পড়া এবং সবশেষে লিখে চেষ্টা করা। এছাড়াও যদি বিষয়টি পড়াশেষ হয়ে যায় তারপর আবার নতুন করে লিখে দেখা যেতে পারে যে ঐ বিষয়টি আসলেই আয়ত্ব হয়েছে কি না।
যে কোনো পাঠের বিস্তারিত পাঠ্যবইয়ে না থাকা টাস্বাভাবিক। এর বিস্তারিত জানার জন্যে সহায়ক বইয়ের সাহায্য নেয়া উচিত। যেমন বিজ্ঞান বিষয়ে অন্য অনেক সহায়ক গ্রন্থআছে যা থেকে সেই বিষয়ে আরো অনেক জ্ঞান অর্জন করা।
ভালো স্টুডেন্টদের মূল্যায়ন সব জায়গাতেই হয় এবং এরা অনেক সুযোগ পেয়ে থাকেন জীবনের সফলতা অর্জনে। আপনি যদি একজন ভালো স্টুডেন্ট হতে চান তাহলে আবশ্যই আপনার জীবনের একটি লক্ষ্য তৈরি করুন।কোন পথে ঠিক কিভাবে আগাবেন সেই বিষয়ে ভাবুন। একটা গতিপথ তৈরি করুন।
স্নাতক পাশে ব্রাক ব্যাংকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
ভালো স্টুডেন্ট হতে হলে আপনাকে অধ্যবসায় করতে হবে। জীবনের লক্ষ্য অনুযায়ী এগুতে গিয়ে অধ্যবসায়ের প্রয়োজন রয়েছে।ছাত্রজীবনের অধ্যবসায় আপনাকে জীবনেসফলতা এনে দেবে। কঠিন অধ্যবসায়ইআপনাকে একজন ভালো স্টুডেন্ট তৈরি হতেসহায়তা করবে।
আপনি ছাত্রজীবনে যে ধরনের কাজ করছেন তার একটি সুনির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করুন।রুটিনে পড়াশুনা এবং অন্যান্য কাজের সময়গুলো হিসেব করে ভাগ করে নিন।রুটিনটিতে পড়ার সময়টুকু অবশ্যই বেশি রাখবেন এবং সেই অনুযায়ী কাজ করে যান।এতে করে দেখবেন ফলাফল ইতিবাচক আসবেই,ইনশাআল্লাহ।
এছাড়াও আরো অনেক বিষয় আছে যেগুলো মেনেচলা উচিৎ।
ফেসবুকে আমরাঃ আমাদের ভোলা
আপনার ফেসবুক আইডি থেকে কমেন্ট করুন