বিজ্ঞানের ভাষায়, মানবদেহে সংক্রমন বা জীবানুর সংক্রমন এড়ানোর জন্য এবং দেহের কাঠামোর সুরক্ষার জন্য আবরণী হিসেবে সে স্তর থাকে তাকে আমরা ত্বক বলি। আর ত্বক বলতে আমরা সাধারণ ভাবে শরীরের চামড়াকে বুঝি।
পৃথিবীতে দুই বর্ণের বা রংয়ের চামড়ার মানুষ রয়েছে। এটির মূল কারন মেলানিন নামক উপাদান যার জন্য বর্ণ আলাদা হয়।যেমন : একটি কৃষ্ণাঙ্গ ও অপরটি শ্বেতাঙ্গ। মূলত কৃষ্ণাঙ্গ হলো কালো বর্ণের চামড়ার মানুষ। আর শ্বেতাঙ্গ হলো সাদা বর্ণের চামড়ার মানুষ। আফ্রিকা, ইউরোপ এগুলোতে আলাদা আলাদা ভাবে কৃষ্ণাঙ্গ ও শ্বেতাঙ্গদের ভাগ রয়েছে। তবে আমাদের বাঙালিদের কৃষ্ণাঙ্গ ও শ্বেতাঙ্গ আলাদা ভাবে বলা যায় না। কারন আমরা একদম শ্বেত নয় আবার কৃষ্ণ ও নয়।
আমাদের মধ্যেও রয়েছে কালো ফর্সার বৈষম্য। যে বৈষম্য কে আমরা চোখের চাহনিতেই তুলে ধরি। প্রতিনিয়ত কালো বর্ণের মানুষকে যা নয়, তা বলে অপমান অপদস্ত করছে একদল মানুষ। তারা সবসময় জানান দেয়. কালো হলে এটা করা যাবে না ওটা করা যাবে না ইত্যাদি ইত্যাদি। তাহলে কালো হলে কি সে নিজে নিজেই মারা যাবে?? সে মারা গেলে শান্তি পাবে কি দৃষ্টিকটূ দৃষ্টি ভঙ্গির মানুষগুলো। নাহ তারা তবুও শান্তি পাবে না তখন তারা বলবে, “সে কালো বলে মরে গেল ইশশ বেঁচে থাকলে কি এমন হতো।”
হুম এমনই হয় মানুষ। তবুও এদের মাঝেও কিছু মানুষ রয়েছে যারা কালো ফর্সা দেখে যোগ্যতা, ইচ্ছাশক্তি সেই শক্তিতে শানিত করে তাদের এগিয়ে চলতে সাহায্য করে। অন্যকে কালো বলে অবহেলা করার সময়, একটিবার ভাবুন তো আপনি নিজে তার জায়গায় থাকলে আপনার ঠিক কেমনটা অনুভূতি হতো?? ঠিক তেমনটিই তাদেরও হয়। তারা কালো হলেও তাদের দৃষ্টি ভঙ্গি, আচরন, মেধাশক্তি, চিন্তা – ভাবনা কিন্তু কালো নয়। তাদেরও পঞ্চইন্দ্রিয় রয়েছে তারাও সবকিছু অনুভব করে / করার ক্ষমতা রয়েছে। আর সেই মানুষটি যদি মেয়ে হয় তাহলে কোনো কথাই নেই। তাকে ১৫/১৬ বছর না হতেই অন্ন্যের গলায় ঝুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা শুরু করে। যাতে শুনতে না হয় ঘরে একটা কালো মেয়ে আছে।
জেদ, রাগ কোনো কিছুর মূল্যায়ন পায় না মেয়েটি শুধু কালো বলে। কিন্তু সেই কালো মেয়েটি যদি সবার সাথে সংগ্রাম করে জিবনে একটিবার সফল হতে পারে তাহলে তাকে সবাই ভালোবাসে, আদর করে তবুও বলবে কালো। তবে তখন কালো বলার মধ্যে থাকবে এক আলাদা সুর। তাই সবাই কে বলবো আসুন ফর্সা কালো না দেখে। কালো কে ফর্সা বানানোর জন্য চিন্তা না করে কালো কে আলো বানানোর চিন্তা করি। সবাই দৃষ্টি ভঙ্গি পাল্টাই। বর্ণবিভেদ কে দূরে সরিয়ে দিই। যাতে বর্ণবিভেদ এর জন্য কাছের বা দূরের মানুষগুলো কষ্ট না পায়।
আপনার ফেসবুক আইডি থেকে কমেন্ট করুন