দরজার ওপাশে (হরর) ১ম পর্ব – শামীমা আক্তার রোজি
-আমার পক্ষে আর সম্ভব না.প্রতিদিন একই সপ্ন দেখছি.কেন?কি কারণে?এর কারণ আমাকে জানতেই হবে.
একরকম জিদ ধরে যায় স্নিগ্ধার.ইংরেজীতে অনার্স করার পাশাপাশি ভৌতিক সকল ব্যাপারে পড়ালেখা চালাচ্ছে.গত ২ মাস ধরে একটা স্বপ্নই সে দেখে যাচ্ছে.সে দেখে,অদ্ভুত একটা রুম এর মধ্য দিয়ে সে এগিয়ে যাচ্ছে এবং সেই রুমে ২ টি সুরুঙ্গ পথ.একটির সামনে লেখা,’নিজে মরে অন্যকে বাচাও’ এবং অন্যটিতে ‘তোমার শক্তি প্রয়োগ করো’.কি মানে হতে পারে এই স্বপ্নের?ভাবতে ভাবতে ভার্সিটির জন্য তৈরী হতে লাগলো স্নিগ্ধা.এর মধে্যই একটা ফোন আসলো.
-হ্যালো,পুতুল.বল.
-কোথায় তুই?
-এইতো বের হবো এখন.
-বের হসনা.আমরা তোর বাসায় আসছি.
-এখন?আচ্ছা আয়.
পুতুল স্নিগ্ধার বেষ্ট ফ্রেন্ড.হঠাৎ কি হলো যে বাসায় আসছে তাও ভার্সিটির সময়ে?এমনিতেই দেরি হয়ে গেছে.৫ মিনিট পর একসাথে ৬ জন ওর বাসায় হাজির.পুতুল এর সাথে স্নেহা,প্রিতি,সৌরভ,আকাশ আর রুদ্র.ওরা ৭ জন খুব ভালো বন্ধু.ছোটবেলা থেকে ওরা একসাথে পড়ালেখা করছে.যাই হোক,সবাই ওর কাছে আবদার নিয়ে এলো.৩ দিনের জন্য ঘুরতে যাবে.স্নিগ্ধা তো একেবারেই রাজি না.২ মাস পর সেমিষ্টার পরীক্ষা.আর এখন ঘুরতে যাবে তা তো অসম্ভব.
জোরাজোরি করে না পেরে স্নিগ্ধার বাবা মা এর কাছে গিয়ে স্নিগ্ধা কে রাজি করাতে বললো।অবশেষে বাবা মার কথায় রাজি হলো স্নিগ্ধা।
কুয়াকাটা যাওয়ার কথা প্ল্যান করলো এবং পরের দিন কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে রওনা হলো।যেতে যেতে রাত আটটার বেশি বেজে গেলো।একটা খুব ভালো হোটেল এ উঠলো রুম বুক করার জন্য।
৪ জন মেয়ে ও ৩ জন ছেলে তাই ২ টা রুম বুক করলো ওরা।রুম নং ৫০২ ও ৫০৩।রিসিপশনিস্ট চাবি দিয়েই বলে দিলেন রাত ১০ টার পর লিফ্ট বন্ধ থাকে না।কিন্তু তারপর ও ১০ টার পর কেউ লিফ্ট ব্যাবহার করবেন না এবং ১০ নং ফ্লোর এ উঠার জন্য কখনোই লিফ্ট ব্যাবহার করবেন না।তাছাড়া ১০ নং ফ্লোর এ কেউ কখনো যাবেন না। তা না হলে বিপদে পড়বেন।
সবাই খুবই অবাক হলো। এ কেমন নিয়ম।সে যাই হোক,লম্বা সফরের পর সবাই ক্লান্ত অনেক।তাই রুম এ গিয়ে ফ্রেশ হয়ে ডিনার সেরে ফেললো।
অল্প বয়সে বিয়ে করার উপকারিতা, জানলে চমকে যাবেন
সবাই একসাথে আড্ডা দিচ্ছে ৫০২ নং রুম এ।এমন সময় রুদ্র বলে উঠলো,
রুদ্র:আচ্ছা,হোটেল এর নিয়ম টা খুব অদ্ভুত।তাই না?
স্নিগ্ধা:হ্যা। খুবই অদ্ভুত।রহস্যের মতো।
পুতুল:ঘুরতে আসছি আমরা।এইসব টপিক বাদ দে,প্লিজ।
সৌরভ:আকাশ,একটা কথা আছে।বাইরে চল।
ওরা ২ জন চলে যাওয়ার পরেও বাকিরা সবাই গল্প করতে লাগলো।সৌরভ আর আকাশ বাইরে এলো।
সৌরভ:চল এখন।লিফ্ট এ উঠবো।
আকাশ:ওরা যদি বুঝতে পারে?
সৌরভ:বুঝলেও বা কি।এই হোটেলের ব্যাপারে অনেক ভৌতিক কাহিনী শুনেছি।আজ সেগুলো মিথ্যে প্রমাণ করে তবেই ছাড়বো।
আকাশ:আচ্ছা,চল।
ওরা ২ জন তো লিফ্ট এর উদ্দেশ্যে রওনা হলো।কিন্তু ওরা জানে না কত বড় ভয়ংকর সত্যি ওদের জন্য অপেক্ষা করছে।
চলবে………..
আপনার ফেসবুক আইডি থেকে কমেন্ট করুন